পদাবলিপ্রচ্ছদ

একগুচ্ছ কবিতা- নোমান শায়েরী

মানবতার উৎসব

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা নামে

আমাদের দু’টি ঈদ

আমাদের দু’টি উৎসব

মানবতার উৎসব।

 

আমাদের উৎসব নয় নিছক রং ছোড়াছুড়ির

নহে নিছক নাচগানের

গুটিকয়েক কাঠের পুতুল উঁচিয়ে নয় কোন যাত্রার।

আমরা একে অন্যের গায়ে রং ছিটিয়ে হাসি না

আমরা নেচে গেয়ে আনন্দ করি না

আমরা অপচয়ে সুখ খুঁজে পাই না।

 

আমাদের উৎসব মানে

অনাহারীকে খাদ্য আর বস্ত্রহীনে বস্ত্র দিয়ে

অনাবিল আনন্দ পাওয়া।

যারা পায় না বছরজুড়ে গোশতের গন্ধ

আমরা তাদের মুখে গোশতের স্বাদ ঠুকে হাসি।

আমাদের উৎসবে আমরা

মানুষের দুঃখ ঘুচিয়ে সুখ পাই।

আমাদের উৎসব মানে

মানবতার উৎসব।

 

সবার ঘরে গোস্ত

গোরু,ছাগল,ভেড়া,মহিষ এমন পশুর গোস্ত,

সব মানুষের মন খেতে চায়;সাধ্য তো নাই দোস্ত!

বাজারে তার মূল্য চড়া ধনী কেবল নিয়ে যায়,

গরীব লোকে দৃশ্য দেখে অশ্রু ভরা চোখে চায়।

গরীব সে যে বুঝে নিলেও বাচ্চাটা তার বুঝে না,

গোস্ত ছাড়া বাজার থেকে বাড়িতে সে যাবে না।

অনেক গরীব হাত পেতে খায় অনেক গরীব পাতে না,

সারা বছর তাদের ঘরে গোস্ত কভু জোটে না।

কোরবানি-ঈদ তাই তো প্রভু দিয়েছেন ভাই-দোস্ত,

সেই দিনে রয় প্রভুর আজ্ঞায় সবার ঘরে গোস্ত।

না হোক ফরজ,হলেও সে কাজ মুস্তাহাব

মানবতার জন্য বিলাও,আর নিয়ে নাও খুব সওয়াব।

 

কিছু কিছু কাজকে প্রভু মুস্তাহাবে রেখে,

যাচ্ছে তিনি তাঁর বান্দার বিবেকখানি দেখে।

 

কোরবানির ঈদ

ঈদ এসেছে ঈদ

কোরবানির ঐ ঈদ।

ঈদগাহে যাও সালাত আদায় কর,

সালাত শেষে হাতে ছুড়ি ধর,

রবের হুকুম করতে পালন সবাই,

মনের পশু ঘরের পশু কর তবে জবাই।

মানবতার চোখ খোল আজ ভাই,

গোশতগুলো একলা খেতে নাই,

সারা বছর খেলে যেমন করে,

পয়সা আছে কিনে থলে ভরে।

গরীব লোকের মাঝে ওসব দাও বিলিয়ে দাও,

বান্দা তুমি তোমার রবের মন জুগিয়ে নাও।

বছরজুড়ে পায় না যারা গোশত খাওয়ার স্বাদ,

খেয়াল রেখো আজকে যেন না পড়ে যায় বাদ।

 

আরও পড়ুন- জামিল হাদীর কবিতা